১. ছোটবেলায় কথা মনে পরে মাঝে মাঝে। এখন বর্ষাকাল। ঘন মেঘ করে বেশ উপরজোন্তেই বৃষ্টি হয় নিজামদের শহর হায়দরাবাদে। ছুটিরদিনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে অনেক কিছুই মনে পরে যায়। অনেক স্মৃতি ছুটে চলে আসে নিমেষের মধ্যে।
২, ছোটবেলায় দক্ষিণ কলকাতায় আমদের ছোট ফ্ল্যাটে এই বর্ষাকালে বেশ আড্ডা জমতো। কেউ না কেউ আমাদের বাড়িতে রোজ আসতো। যেই দরজায় বেল বাজতো আমার মনটা আনন্দে ভোরে উঠতো - কেউ এসেছে - আড্ডা তো হবেই তার সাথে সেই সন্ধের পড়াশুনো টাও শেষ। উফফ সে এক দারুন আনন্দ।
ভূত বলে নেই কিছু
ভয় নেই তাই।
নিছক গল্পের লোভে পড়ে নেওয়া চাই।
পড়ার সময় কিন্তু মজা আছে ভাই
পড়ার পরেই সব ভুলে যাওয়া চাই।
এই ছড়া টা বাবা লিখেছিলেন। এরকম ছোট ছোট ছড়া ও ভূতের গল্প বৃষ্টির দিনে পড়তে আর শুনতে কার না ভালো লাগে। প্রায়শই বসত গানের আসর। হারমোনিয়াম বাজাতেন আমার জেঠু ও তবলায় সঙ্গত দিতেন বাবা। রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের আধুনিক গান গেয়ে ও শুনে সবার মন তরতাজা হয়ে যেত। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি তার সুরে সুর মিলিয়ে বেজে উঠতো :
"মন মোর মেঘের সঙ্গী ,
উড়ে চলে দিগ্দিগন্তের পানে
নিঃসীম শুন্যে শ্রাবণবর্ষণ সঙ্গীতে
রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম।"
৩. কাঁচের সার্সি দিয়ে বৃষ্টি ভেজা ঘুমন্ত শহরের নিয়ন আলোয় ছবিটা অন্যরকম। মাঝরাতে বসে আকাশ কুসুম ভাবা আমার অনেকদিনের অভ্যেস। সময় তো আর থেমে থাকে না বয়ে চলে নদীর মতো। আজ ৫ মাস পরে বাড়ি যাবার পালা। জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া র ট্রেনিং র মাঝে ছুটি। তাই আজ খুব ভালো লাগছে দিল্লী এয়ারপোর্ট এ বসে অপেক্ষা করছি ফ্লাইট র জন্য। পাশে একটি ইন্ডিয়ান ফুড কাউন্টারে বাজছে সেতার নানা রাগ ভিন্ন গতে। নানা রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশ ঘুরে বাড়ি ফিরছি। ভালো লাগছে। শেষ কিছু মাস কোথা দিয়ে বেড়িয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। পুজোর সাজে দেখবো কলকাতা কে। অপেক্ষা শেষ হবে।
২, ছোটবেলায় দক্ষিণ কলকাতায় আমদের ছোট ফ্ল্যাটে এই বর্ষাকালে বেশ আড্ডা জমতো। কেউ না কেউ আমাদের বাড়িতে রোজ আসতো। যেই দরজায় বেল বাজতো আমার মনটা আনন্দে ভোরে উঠতো - কেউ এসেছে - আড্ডা তো হবেই তার সাথে সেই সন্ধের পড়াশুনো টাও শেষ। উফফ সে এক দারুন আনন্দ।
ভূত বলে নেই কিছু
ভয় নেই তাই।
নিছক গল্পের লোভে পড়ে নেওয়া চাই।
পড়ার সময় কিন্তু মজা আছে ভাই
পড়ার পরেই সব ভুলে যাওয়া চাই।
এই ছড়া টা বাবা লিখেছিলেন। এরকম ছোট ছোট ছড়া ও ভূতের গল্প বৃষ্টির দিনে পড়তে আর শুনতে কার না ভালো লাগে। প্রায়শই বসত গানের আসর। হারমোনিয়াম বাজাতেন আমার জেঠু ও তবলায় সঙ্গত দিতেন বাবা। রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের আধুনিক গান গেয়ে ও শুনে সবার মন তরতাজা হয়ে যেত। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি তার সুরে সুর মিলিয়ে বেজে উঠতো :
"মন মোর মেঘের সঙ্গী ,
উড়ে চলে দিগ্দিগন্তের পানে
নিঃসীম শুন্যে শ্রাবণবর্ষণ সঙ্গীতে
রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম।"
৩. কাঁচের সার্সি দিয়ে বৃষ্টি ভেজা ঘুমন্ত শহরের নিয়ন আলোয় ছবিটা অন্যরকম। মাঝরাতে বসে আকাশ কুসুম ভাবা আমার অনেকদিনের অভ্যেস। সময় তো আর থেমে থাকে না বয়ে চলে নদীর মতো। আজ ৫ মাস পরে বাড়ি যাবার পালা। জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া র ট্রেনিং র মাঝে ছুটি। তাই আজ খুব ভালো লাগছে দিল্লী এয়ারপোর্ট এ বসে অপেক্ষা করছি ফ্লাইট র জন্য। পাশে একটি ইন্ডিয়ান ফুড কাউন্টারে বাজছে সেতার নানা রাগ ভিন্ন গতে। নানা রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশ ঘুরে বাড়ি ফিরছি। ভালো লাগছে। শেষ কিছু মাস কোথা দিয়ে বেড়িয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। পুজোর সাজে দেখবো কলকাতা কে। অপেক্ষা শেষ হবে।
mon chuye gelo .. chomotkar lekha.. erokom aro likho!
ReplyDeleteসময় থাকে না থেমে একদিন ছেড়ে দিতে হয়ে ।। :)
ReplyDeleteখুব সুন্দর।
I really appreciate your professional approach. These are pieces of very useful information that will be of great use for me in future.
ReplyDeleteBah eta besh to....
ReplyDelete