২২ এ শ্রাবণ প্রত্যেক বাঙালির কাছেই এক বিশিষ্ট দিন। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে আজ যেমন নানা অনুষ্ঠান হয় তেমনি অনেক বাড়িতে, কিছু পাড়ার ক্লাব গুলিতেও ছোট অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে । বাদলের ঘনঘটা ও বৃষ্টি দিয়ে ঘেরা সন্ধ্যা তে বসে মুড়ি-তেলেভাজার সাথে রবীন্দ্রসংগীত ও চা কার না ভালো লাগে। ২-৪ ঘন্টা নিমেষে কেটে যায় । বাইরে কাঁচের সার্সি দিয়ে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির জল, ল্যাম্প পোস্টের নিয়ন আলোর যে ছবি টা আঁকে তা কিছু টা অস্পষ্ট করে দায় আকাশ থেকে পরে যাওয়া অবিরাম বারী । ঠিক যেমন টা হয়ে মনের মধ্যে , কিরকম যেন ধোঁয়াশা । রবি ঠাকুরের গানের মাঝেই মানুষের সব রকম ইমোশন লুকিয়ে আছে মনে হয় । মনের যে ভাবটাই থাকুক না কেন কোনো এক গানে নিশ্চই পাওয়া যায় । প্রত্যেক ঋতু নিয়ে তো গান আছেই সঙ্গে প্রত্যেক রিতুর মধ্যে আনন্দের ও বেদনার গান ও রয়েছে। পদ্মের যেরকম পাপড়ি গুলো এক অদ্ভুত সিমেট্রি তৈরী করে ঠিক সেরকমই রবীন্দ্রনাথের গানেও অনেক গভীর মানে লুকিয়ে আছে ।
সুখ দুঃখ সকল মানুষের জীবনেই আসে । তার বহিঃপ্রকাশ হওয়া বেশ প্রয়োজনীয় । আনন্দ যেরকম একা অনুভব করার চে দশ জনের সাথে অনুভব করা অনেক ভালো । অথচ বেদনা হয়তো নিজের মধ্যে রাখা টাই অনেকে পছন্দ করে। হয়তো ১-২ জনের সাথে শেয়ার করলে কিছুটা হালকা লাগে কিন্তু কি লাভ ? মনের ব্যাথা তো নিজের কাছেই , অন্যরা হয়তো কিছুক্ষন সংবেদনা দেখাবে তারপর সেটা নিয়ে মজা করবে । এটাই দুনিয়া। প্রকৃত বন্ধু তো খুব কম আজকের কলিযুগে । রবীন্দ্রনাথ ও অনেক কষ্ট ও দুঃখ সহ্য করেছেন তার জীবনে । তার বহিঃপ্রকাশ তাঁর লেখা গানে, কবিতাতে , গল্পে । বেদনা না পেলে ওরকম লেখা হয়তো লেখা সম্ভব নয় । তবে রবি ঠাকুরের সঙ্গে কাউকে তুলনা করাটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় তবুও যেকোনো সৃষ্টি যা সময়কাল ধরে জনপ্রিয় তা হয়তো বেদনার ফল । ভ্যান গঘ র অপরূপ ছবি বা বেটোভেনের অসাধারণ ৯ সিম্ফনি । কিংবা মিল্টনের কবিতা হোক বা নিখীল বন্দ্যোপাধ্যায়র সেতার-- বেদনা একটি খুব বড়ো ক্যাটালিস্ট র কাজ করেছে বৈকি ।
লেখা টা শুরু করেছিলাম ২২এ শ্রাবন নিয়ে কোন দিকে যেন চলে গেলো । মনের ভাব টা হয়তো সেরকম, কিরকম যেন এলোমেলো ।
ঝড় হোক বাইরে আজ, বৃষ্টি তে ভেজা ঘাস গুলো নিয়ন আলোতে জ্বল জ্বল করুক । মনের ভাব টা প্রকৃতি প্রকাশ করুক । এটাই কি রবীন্দ্রনাথ কে আবার খুঁজে পাওয়া নয় ?
সুখ দুঃখ সকল মানুষের জীবনেই আসে । তার বহিঃপ্রকাশ হওয়া বেশ প্রয়োজনীয় । আনন্দ যেরকম একা অনুভব করার চে দশ জনের সাথে অনুভব করা অনেক ভালো । অথচ বেদনা হয়তো নিজের মধ্যে রাখা টাই অনেকে পছন্দ করে। হয়তো ১-২ জনের সাথে শেয়ার করলে কিছুটা হালকা লাগে কিন্তু কি লাভ ? মনের ব্যাথা তো নিজের কাছেই , অন্যরা হয়তো কিছুক্ষন সংবেদনা দেখাবে তারপর সেটা নিয়ে মজা করবে । এটাই দুনিয়া। প্রকৃত বন্ধু তো খুব কম আজকের কলিযুগে । রবীন্দ্রনাথ ও অনেক কষ্ট ও দুঃখ সহ্য করেছেন তার জীবনে । তার বহিঃপ্রকাশ তাঁর লেখা গানে, কবিতাতে , গল্পে । বেদনা না পেলে ওরকম লেখা হয়তো লেখা সম্ভব নয় । তবে রবি ঠাকুরের সঙ্গে কাউকে তুলনা করাটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় তবুও যেকোনো সৃষ্টি যা সময়কাল ধরে জনপ্রিয় তা হয়তো বেদনার ফল । ভ্যান গঘ র অপরূপ ছবি বা বেটোভেনের অসাধারণ ৯ সিম্ফনি । কিংবা মিল্টনের কবিতা হোক বা নিখীল বন্দ্যোপাধ্যায়র সেতার-- বেদনা একটি খুব বড়ো ক্যাটালিস্ট র কাজ করেছে বৈকি ।
লেখা টা শুরু করেছিলাম ২২এ শ্রাবন নিয়ে কোন দিকে যেন চলে গেলো । মনের ভাব টা হয়তো সেরকম, কিরকম যেন এলোমেলো ।
ঝড় হোক বাইরে আজ, বৃষ্টি তে ভেজা ঘাস গুলো নিয়ন আলোতে জ্বল জ্বল করুক । মনের ভাব টা প্রকৃতি প্রকাশ করুক । এটাই কি রবীন্দ্রনাথ কে আবার খুঁজে পাওয়া নয় ?
আজি বরিষনমুখরিত শ্রাবণরাতি, স্মৃতিবেদনার মালা একেলা গাঁথি॥ আজি কোন্ ভুলে ভুলি আঁধার ঘরেতে রাখি দুয়ার খুলি, মনে হয় বুঝি আসিছে সে মোর দুখরজনীর সাথি॥ আসিছে সে ধারাজলে সুর লাগায়ে, নীপবনে পুলক জাগায়ে। যদিও বা নাহি আসে তবু বৃথা আশ্বাসে ধুলি-'পরে রাখিব রে মিলন-আসনখানি পাতি॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১ শ্রাবন ১৩৪২
|
Mesmerized!
ReplyDeleteMon chuye gelo lekha ta pore...keep it up
ReplyDeleteবর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয় যে রবি ঠাকুরের প্রবন্ধগুলি অনেক বেশি বাস্তব। আর শেষ আশ্রয় তো আছেই ওনার গানে। যেমনটা তুই বললি...
ReplyDeleteKhubii bhalo.
ReplyDelete